শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে ছয় মাসের ব্যবধানের মসলার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ

সুন্দরগঞ্জে ছয় মাসের ব্যবধানের মসলার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাত মাস আগে মসলা কিনেছি। এরমধ্যে আর মসলা কিনা হয়নি। মাত্র ২৫দিন পর কোরবানির ঈদ। তাই ভাবলাম আগাম মসলা কিনে রাখি। দোকানে গিয়ে মসলার দাম শুনে অবাক হয়ে গেলাম। গত ছয় মাসের ব্যবধানে দুই হতে তিনগুন দাম বেড়ে গেছে প্রতিটি মসলার দাম। কথাগুলো বলেন সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার কলেজ পাড়া মহল্লার গৃহবধূ মোরশেদা বেগম। তিনি বলেন মসলা, তেলসহ প্রতিটি ভোগ্যপণ্যের দাম যে হারে বেড়েই চলছে, তাতে করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষজন সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে ফিরে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের নিকট থেকে জানা গেছে, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি জিরা ৭০০ টাকা, গুলমরিচ ১৩০০ টাকা, ছোট এলাচ ৫০০০ টাকা, বড় এলাচ ২৮০০ টাকা, লং ১৮০০ টাকা, দারচিনি ৬০০ টাকা, ধনিয়া ২০০ টাকা, পাঁচফোরন ৩০০, হলুদ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে হয়তো আর দাম বাড়তে পারে ধারনা ব্যবসায়ীদের। গত ছয় মাসের ব্যবধানে এসব মসলার দাম দ্বিগুন হারে বেড়ে গেছে।
সুন্দরগঞ্জ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী কেশব চন্দ্র বলেন, দুই হতে তিন মাস পরপর মসলার দাম বেড়েই চলছে। শুধু মসলা নয় প্রতিটি ভোগ্যপর্ণ্যরে দাম এখন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের। তাদের পক্ষে এত দাম দিয়ে মসলা কিনে খাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর। ভোগ্যপর্ণ্যরে বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরী হয়ে পড়েছে। তার ভাষ্য বেশির ভাগ মসলা জাতীয় পণ্য দেশের বাইর থেকে আনা হয়। সে কারণে দাম অনেকটা বেশি।
শান্তিরাম গ্রামের ভ্যান চালক বাইজত হোসেন বলেন, মাসে দু’একদিন মাছ-গোস্ত কিনতে পারি কিনা সেটিও ভার্গ্যরে ব্যাপার। তার ওপর আবার মসলা কিনতে হয়। এক কেজি গোস্ত রান্না করতে গেলে এখনকার বাজারের সবমিলে ৮০ হতে ১০০ টাকার মসলা কিনতে হয়। নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য এখন মাছ-গোস্ত খাওয়া হারাম হয়ে পড়েছে।
বেলকা মজিদপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, আজ থেকে এক বছর আগে কোরবানির ঈদে ৫০০ টাকার মসলা কিনলে হয়ে যেত। গত ছয় মাসের ব্যবধানে যে হারে দাম বেড়ে গেছে, তাতে করে ১০০০ হতে ১৫০০ টাকার মসলা কিনতে হবে। যেটি মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য অনেক কষ্টের।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রাশিদুল কবির বলেন, উপজেলায় মসলা জাতীয় ফসলের চাষাবাদ অনেক কম। হলুদ, পিয়াজ, মরিচ, রসুন, ধনিয়ার চাষ হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কম। বাইর থেকে মসলা জাতীয় পর্ণ্য সংগ্রহ করতে হয়। সে কারনে দাম অনেক বেশি।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com